হাতিয়ায় নিরপরাধ শিক্ষক কারাগারে, ক্ষোভে শিক্ষকদের মানববন্ধন।
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মামলার আসামি না হয়েও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক সমাজ সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে অবিলম্বে ওই শিক্ষককে মুক্তি ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সকাল ১০টায় হাতিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, নলচিরা ছিদ্দিকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন কোনো মামলার আসামি নন। তবুও পুলিশ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বক্তারা বলেন, এ ঘটনা আইনের চরম অপব্যবহার এবং একজন শিক্ষকের সম্মান ও পেশাগত জীবনে গুরুতর আঘাত। তারা অবিলম্বে জসিম উদ্দিনের নিঃশর্ত মুক্তি ও ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।
হাতিয়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনম হাসান বলেন, “এমন অন্যায় আচরণ শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করে।”
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহাফুজুর রহমান কায়ূম বলেন, “যাদের অবহেলায় বা ইচ্ছাকৃতভাবে এই হয়রানি ঘটেছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
শিক্ষক জসিম উদ্দিনের ভগ্নিপতি নাসির উদ্দিন ঝন্টু বলেন, “বিগত ত্রিশ বছর ধরে তিনি হাতিয়াতেই বসবাস করছেন এবং নিয়মিত স্কুলে চাকরি করে আসছেন। কখনো পলাতক ছিলেন না। তবুও কীভাবে তাকে মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক দেখিয়ে আটক করা হলো, তা বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, “আমরা আদালতের দেওয়া ওয়ারেন্টে পাওয়া নাম-ঠিকানা যাচাই করে গ্রেফতার করেছি। তিনি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।”