ঢাকা ০২:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাটখিলে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, সড়ক নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ

নিজস্ব সংবাদ :
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কচুয়া-শাহাপুর সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী এলজিইডি’র উপজেলা ও জেলা অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিনে তদন্তে দেখা যায়, কচুয়া থেকে শাহাপুর পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজ, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি টাকা। গত ১৫-১৬ দিন আগে থেকে শাহাপুর ও কচুয়া বাজার অংশে সি.সি. ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। কাজের শুরুতেই নিম্নমানের ইট, খোয়া এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল।
স্থানীয় ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম, মহিন উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান এলজিইডি’কে অবগত করলে উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার ফিরোজ আহমেদ প্রাথমিক তদন্ত করেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তিনি মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেন এবং বিষয়টি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়।
নোয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “খোয়া ও ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে মানসম্মত সামগ্রী না আনা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজ’এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সড়কটি টেকসইভাবে বাস্তবায়নের জন্য এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজর দেবেন।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৮ বার পড়া হয়েছে

চাটখিলে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, সড়ক নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ

আপডেট সময় ০৫:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কচুয়া-শাহাপুর সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী এলজিইডি’র উপজেলা ও জেলা অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিনে তদন্তে দেখা যায়, কচুয়া থেকে শাহাপুর পর্যন্ত ২.৩ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ পেয়েছে প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজ, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি টাকা। গত ১৫-১৬ দিন আগে থেকে শাহাপুর ও কচুয়া বাজার অংশে সি.সি. ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। কাজের শুরুতেই নিম্নমানের ইট, খোয়া এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল।
স্থানীয় ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম, মহিন উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান এলজিইডি’কে অবগত করলে উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার ফিরোজ আহমেদ প্রাথমিক তদন্ত করেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তিনি মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেন এবং বিষয়টি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়।
নোয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মাহফুজুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “খোয়া ও ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে মানসম্মত সামগ্রী না আনা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজ’এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সড়কটি টেকসইভাবে বাস্তবায়নের জন্য এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নজর দেবেন।