ঢাকা ০৯:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৯ বছরের সম্পর্ক, বিয়ের দাবিতে ১ সন্তানের জননী ঢাকা থেকে সোনাইমুড়িতে

মোঃ আবদুল মোতালেব, বিশেষ প্রতিনিধি
৯ বছরের সম্পর্ক, বিয়ের দাবিতে ১ সন্তানের জননী ঢাকা থেকে সোনাইমুড়িতে
২০১৬ সাল থেকে পরিচয় তারপর থেকে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক, গড়িয়েছে শারীরিক সম্পর্কে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন থেকে বিয়ের আশ্বাসে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় প্রেমিক হৃদয়ের (২৯) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গত রোববার হাজির হয়েছেন ঢাকার ডেমরার একটি বিউটি পার্লারের মালিক এক সন্তানের জননী বিধবা রুপা (২৭)।
রুপা জানান, সে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ কাজ করতো। যার সুবাদে নোয়াখালীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে নাচ করতে আসত হত। এ সময় তার সাথে নাচের জুটি হিসেবে কাজ করতো হৃদয়, সেখান থেকে মন দেয়া-নেয়া। তারপরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার ও চাটখিলের একটি আবাসিক হোটেল এবং হৃদয়ের বাড়ি সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসেরখিল গ্রামের বাড়িতে রুপার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এভাবেই চলছিল রুপা আর হৃদয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কিন্তু গত শনিবার রুপা জানতে পারে হৃদয় তার অজান্তেই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করছে। আর এটা জেনেই সে রোববার ছুটে আসে হৃদয়দের বাড়িতে। কিন্তু রুপার ফিরে আসার খবরে হৃদয় সহ পুরো পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। হৃদয়ের খোঁজে গত দুদিন থেকে রুপা তাদের বাড়িতে অবস্থান নেয়। রুপা আরো জানায় সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে হৃদয় বিভিন্নভাবে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে তিন লাখ টাকারও বেশী টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর আগেও বিয়ের দাবিতে হৃদয়ের গ্রামের বাড়িতে আসলে রুপাকে হৃদয় ও তার বাবা খায়রুল বাসার সহ তার পরিবারের লোকজন তার সাথে সুন্দর আচরণ করে এবং তাদের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে হৃদয় তার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে সে পুনরায় তাদের বাড়িতে আসলে হৃদয় এবং তার বাবা সহ পরিবারের লোকজন তার উপর নির্মম নির্যাতন করে। গত রোববার দিন হৃদয়ের বাড়ির আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বললে হৃদয়ের নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে একাধিক তথ্য জানা যায়। তারা বলেন, হৃদয় এরকম ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী হৃদয়ের এসব অপকর্মের বিচার দাবি করেন। গত দুইদিন হৃদয়ের বাড়িতে অবস্থান করে প্রতিকার না পেয়ে রুপা স্থানীয় দেওটি ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে আইনগত সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবলুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং এই বিষয়ে তদন্ত করে ভুক্তভোগীকে আইনগতভাবে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৫২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৮ বার পড়া হয়েছে

৯ বছরের সম্পর্ক, বিয়ের দাবিতে ১ সন্তানের জননী ঢাকা থেকে সোনাইমুড়িতে

আপডেট সময় ০৬:৫২:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৯ বছরের সম্পর্ক, বিয়ের দাবিতে ১ সন্তানের জননী ঢাকা থেকে সোনাইমুড়িতে
২০১৬ সাল থেকে পরিচয় তারপর থেকে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক, গড়িয়েছে শারীরিক সম্পর্কে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন থেকে বিয়ের আশ্বাসে বিয়ে না করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় প্রেমিক হৃদয়ের (২৯) নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বাড়িতে বিয়ের দাবিতে গত রোববার হাজির হয়েছেন ঢাকার ডেমরার একটি বিউটি পার্লারের মালিক এক সন্তানের জননী বিধবা রুপা (২৭)।
রুপা জানান, সে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ কাজ করতো। যার সুবাদে নোয়াখালীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে নাচ করতে আসত হত। এ সময় তার সাথে নাচের জুটি হিসেবে কাজ করতো হৃদয়, সেখান থেকে মন দেয়া-নেয়া। তারপরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার ও চাটখিলের একটি আবাসিক হোটেল এবং হৃদয়ের বাড়ি সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসেরখিল গ্রামের বাড়িতে রুপার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এভাবেই চলছিল রুপা আর হৃদয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক কিন্তু গত শনিবার রুপা জানতে পারে হৃদয় তার অজান্তেই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করছে। আর এটা জেনেই সে রোববার ছুটে আসে হৃদয়দের বাড়িতে। কিন্তু রুপার ফিরে আসার খবরে হৃদয় সহ পুরো পরিবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। হৃদয়ের খোঁজে গত দুদিন থেকে রুপা তাদের বাড়িতে অবস্থান নেয়। রুপা আরো জানায় সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে হৃদয় বিভিন্নভাবে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে তিন লাখ টাকারও বেশী টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর আগেও বিয়ের দাবিতে হৃদয়ের গ্রামের বাড়িতে আসলে রুপাকে হৃদয় ও তার বাবা খায়রুল বাসার সহ তার পরিবারের লোকজন তার সাথে সুন্দর আচরণ করে এবং তাদের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে হৃদয় তার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে সে পুনরায় তাদের বাড়িতে আসলে হৃদয় এবং তার বাবা সহ পরিবারের লোকজন তার উপর নির্মম নির্যাতন করে। গত রোববার দিন হৃদয়ের বাড়ির আশেপাশের লোকজনের সাথে কথা বললে হৃদয়ের নারী ঘটিত বিষয় নিয়ে একাধিক তথ্য জানা যায়। তারা বলেন, হৃদয় এরকম ঘটনা আগেও ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী হৃদয়ের এসব অপকর্মের বিচার দাবি করেন। গত দুইদিন হৃদয়ের বাড়িতে অবস্থান করে প্রতিকার না পেয়ে রুপা স্থানীয় দেওটি ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকে আইনগত সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবলুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং এই বিষয়ে তদন্ত করে ভুক্তভোগীকে আইনগতভাবে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।