ঢাকা ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচিত সরকার না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না : আমীর খসরু

নিজস্ব সংবাদ :

নির্বাচিত সরকার না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কেউ করবে না। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে দরকার একটা নির্বাচিত সরকার যার পেছনে জনসমর্থন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চেম্বার ভবনে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে রংপুর বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের রাজনৈতিক অধিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিদেশ থেকে যারা আসেন তারা আমাদের জিজ্ঞেস করে আপনাদের নির্বাচনটা কবে হবে। সব কথা শোনে, পরে বলে নির্বাচন কবে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এত বড় কমিটমেন্টে কেউ যাবে না। তাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে। এটা কোনো অন্তবর্তী সরকারের কাজ না সুতরাং সবাই হাত গুটিয়ে বসে আছে। অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচনের জন্য।”

তিনি বলেন, “এক একটা দিন আমরা নষ্ট করছি, পিছিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। এখন সবাইকে শক্তিশালী ভাবে বলতে হবে আমরা নির্বাচিত সরকার চাই যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধ। এর বাইরে অন্য কোনো সরকারের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নেই।”

তিনি আরো বলেন, “সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যে কারণে কেউ কাজ করছে না। পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছে না। কোনো জায়গায় সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে না, হবে না। এজন্য আমি তাদের দোষারোপ করছি না। এটা এ সরকারের কাজ না। আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। জনগণের মালিকানার প্রতিফলন ঘটাতে যার জন্য গত ১৭ বছর যুদ্ধ করেছি।”

‎সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “শেখ হাসিনার পলায়নের পর দেশের রাজনীতিতে একটি মানসিক পরিবর্তন এসেছে। এখন আমাদের প্রত্যাশা ও দায়িত্ব বাড়ছে। আমরা যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তবে জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো।”

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, “রংপুরের হস্ত ও তাঁতশিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। কামারের পণ্য রপ্তানিযোগ্য হলেও তা রপ্তানি হচ্ছে না। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের লক্ষ্য রংপুরে কল কারখানা সেন্টার, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরি করা। ‎ ‎তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সুবিধা ও কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত করা।”
এছাড়া তিনি বলেন, “বিদেশে সোনার অলংকার রপ্তানি এবং ডায়মন্ড কাটিং সেক্টরেও কাজ করার পরিকল্পনা আছে। বিএনপি একটি ব্যবসাবান্ধব দল। বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি জনগণের নির্বাচিত সরকার। না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবে না। ‎ মতবিনিময় সভায় রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। সভায় রংপুরের পিছিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙা করতে করণীয় বিষয়, শিল্প-বাণিজ্য প্রসার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।”
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
৫ বার পড়া হয়েছে

নির্বাচিত সরকার না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না : আমীর খসরু

আপডেট সময় ০৭:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

নির্বাচিত সরকার না হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ কেউ করবে না। সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে দরকার একটা নির্বাচিত সরকার যার পেছনে জনসমর্থন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে চেম্বার ভবনে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে রংপুর বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের রাজনৈতিক অধিকার শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বিদেশ থেকে যারা আসেন তারা আমাদের জিজ্ঞেস করে আপনাদের নির্বাচনটা কবে হবে। সব কথা শোনে, পরে বলে নির্বাচন কবে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে এত বড় কমিটমেন্টে কেউ যাবে না। তাদের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বিনিয়োগ করে। এটা কোনো অন্তবর্তী সরকারের কাজ না সুতরাং সবাই হাত গুটিয়ে বসে আছে। অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচনের জন্য।”

তিনি বলেন, “এক একটা দিন আমরা নষ্ট করছি, পিছিয়ে যাচ্ছি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছি। এখন সবাইকে শক্তিশালী ভাবে বলতে হবে আমরা নির্বাচিত সরকার চাই যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধ। এর বাইরে অন্য কোনো সরকারের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নেই।”

তিনি আরো বলেন, “সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন হলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যে কারণে কেউ কাজ করছে না। পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছে না। কোনো জায়গায় সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে না, হবে না। এজন্য আমি তাদের দোষারোপ করছি না। এটা এ সরকারের কাজ না। আমি চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। জনগণের মালিকানার প্রতিফলন ঘটাতে যার জন্য গত ১৭ বছর যুদ্ধ করেছি।”

‎সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “শেখ হাসিনার পলায়নের পর দেশের রাজনীতিতে একটি মানসিক পরিবর্তন এসেছে। এখন আমাদের প্রত্যাশা ও দায়িত্ব বাড়ছে। আমরা যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তবে জনগণের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো।”

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, “রংপুরের হস্ত ও তাঁতশিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব। কামারের পণ্য রপ্তানিযোগ্য হলেও তা রপ্তানি হচ্ছে না। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের লক্ষ্য রংপুরে কল কারখানা সেন্টার, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা এবং স্থানীয় উদ্যোক্তা তৈরি করা। ‎ ‎তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনায় রয়েছে উদ্যোক্তাদের আর্থিক সুবিধা ও কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত করা।”
এছাড়া তিনি বলেন, “বিদেশে সোনার অলংকার রপ্তানি এবং ডায়মন্ড কাটিং সেক্টরেও কাজ করার পরিকল্পনা আছে। বিএনপি একটি ব্যবসাবান্ধব দল। বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি জনগণের নির্বাচিত সরকার। না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসবে না। ‎ মতবিনিময় সভায় রংপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, রাজনৈতিক প্রতিনিধি ও সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। সভায় রংপুরের পিছিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙা করতে করণীয় বিষয়, শিল্প-বাণিজ্য প্রসার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।”