ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটখিলে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চাটখিলে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে, বিশেষ করে আগত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেবামূলক কর্মকাণ্ড চিকিৎসাসহ কলকারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় গভীর রাতে লোডশেডিং শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। এক দিকে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস, অন্য দিকে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বেড়েছে চুরি। প্রতিদিন ছোট-বড় কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। রাতে ঘুমাতে না পেরে এলাকাবাসী সড়ক, ব্রিজ আর কালভার্টের ওপর বসে গল্প-গুজব করেই রাত কাটাচ্ছেন।
উপজেলার পৌরসদর সহ গ্রাম এলাকায় রাত-দিন সমান তালের লোডশেডিংয়ের পরিবর্তন চায় এলাকাবাসী। সারাদিন ক্রমাগত বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি ও ব্যবসায়ীদেরকে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে যারা সংবাদ পাঠান তাদের অবস্থা হয় আরো শোচনীয়।
চাটখিলের পৌর শহর ও মফস্বলের ছোট-বড় ব্যবসায়ীসহ একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসগুলোতে ঘূপটি মেরে যেসব কর্মকর্তারা বসে আছে তারা ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে সরকারের ভাবমর্যাদাক্ষুণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার অবৈধ সংযোগগুলো চিহ্নিত করে লাইন বিচ্ছিন্ন করলে এ এলাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটা হ্রাস পাবে। অনেকে
আবার বেটারি চালিত অটোরিকশা ও ভ্যানকেও দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি চাটখিল জোনাল অফিসের প্রকৌশলী মোরশেদুল বলেন, চৌমুনী জিএম অফিস থেকে আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাই সেই অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকি।
জিএম অফিস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ যদি না বাড়ে আমরা বাড়তি বিদ্যুৎ বিতরণ কিভাবে করব?

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
২৯ বার পড়া হয়েছে

চাটখিলে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিঘ্নিত

আপডেট সময় ০৫:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

চাটখিলে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় শুরু হয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে, বিশেষ করে আগত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি বিঘ্নিত হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেবামূলক কর্মকাণ্ড চিকিৎসাসহ কলকারখানা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
অধিকাংশ সময়ে দেখা যায় গভীর রাতে লোডশেডিং শুরু হয়ে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুৎ নেই। এক দিকে তীব্র গরমে নাভিশ্বাস, অন্য দিকে লোডশেডিংয়ের সুযোগ নিয়ে বেড়েছে চুরি। প্রতিদিন ছোট-বড় কোনো না কোনো চুরির ঘটনা ঘটছে। রাতে ঘুমাতে না পেরে এলাকাবাসী সড়ক, ব্রিজ আর কালভার্টের ওপর বসে গল্প-গুজব করেই রাত কাটাচ্ছেন।
উপজেলার পৌরসদর সহ গ্রাম এলাকায় রাত-দিন সমান তালের লোডশেডিংয়ের পরিবর্তন চায় এলাকাবাসী। সারাদিন ক্রমাগত বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লি ও ব্যবসায়ীদেরকে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে যারা সংবাদ পাঠান তাদের অবস্থা হয় আরো শোচনীয়।
চাটখিলের পৌর শহর ও মফস্বলের ছোট-বড় ব্যবসায়ীসহ একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ অফিসগুলোতে ঘূপটি মেরে যেসব কর্মকর্তারা বসে আছে তারা ইচ্ছামাফিক লোডশেডিং দিয়ে সরকারের ভাবমর্যাদাক্ষুণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার অবৈধ সংযোগগুলো চিহ্নিত করে লাইন বিচ্ছিন্ন করলে এ এলাকার বিদ্যুৎ ঘাটতি অনেকটা হ্রাস পাবে। অনেকে
আবার বেটারি চালিত অটোরিকশা ও ভ্যানকেও দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি চাটখিল জোনাল অফিসের প্রকৌশলী মোরশেদুল বলেন, চৌমুনী জিএম অফিস থেকে আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ পাই সেই অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকি।
জিএম অফিস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ যদি না বাড়ে আমরা বাড়তি বিদ্যুৎ বিতরণ কিভাবে করব?