ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাড়িচালক আবেদ আলী সম্পর্কে যা জানাল পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদ :

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী পিএসসিতে অনেক প্রভাবশালী ছিল। তার প্রভাব এতোটাই ছিল তাকে বরখাস্ত করার পর চাকরিচ্যুত করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে পিএসসির তৎকালীন দায়িত্বশীলদের। ২০১৫ সালে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আবেদ আলী পিএসসির চাকরি হারান। তারপরও পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় তিনি তার প্রশ্নফাঁস চক্রের কাজ চালিয়ে যান।

ড. সাদিক বলেন, পিএসসিতে ২০১৪ সালের তিন নভেম্বর যখন যোগদান করি, তখনই গিয়ে ‘আবেদ আলী-আবেদ আলী’ নাম শুনেছি, কিন্তু তার সঙ্গে দেখা হয়নি কখনও। এবার গণমাধ্যমে তার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি।’
ড. সাদিক বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর পুরাতন সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি, পিএসসির অনেক কর্মকর্তারাও তাকে সমীহ করতেন। ২০১৬ সালের ২ মে আমাকে যখন পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আমি তখন সাধ্যমত চেষ্টা করেছি পিএসসিতে যাতে কোন আবেদ আলী তৈরি না হয়।’

তিনি জানান, ‘আবেদ আলীকে নানা কুকর্মের জন্য বরখাস্ত করার পর তার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করার জন্য যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, তাদেরকেও শুনেছি অনেক কঠোর হতে হয়েছিল।’

পিএসসির এই সাবেক চেয়ারম্যান জানান, ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিল। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন সে বরখাস্ত হয়। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৭:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
২৬ বার পড়া হয়েছে

গাড়িচালক আবেদ আলী সম্পর্কে যা জানাল পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৭:৫৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেছেন, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী পিএসসিতে অনেক প্রভাবশালী ছিল। তার প্রভাব এতোটাই ছিল তাকে বরখাস্ত করার পর চাকরিচ্যুত করতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে পিএসসির তৎকালীন দায়িত্বশীলদের। ২০১৫ সালে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে আবেদ আলী পিএসসির চাকরি হারান। তারপরও পিএসসির কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় তিনি তার প্রশ্নফাঁস চক্রের কাজ চালিয়ে যান।

ড. সাদিক বলেন, পিএসসিতে ২০১৪ সালের তিন নভেম্বর যখন যোগদান করি, তখনই গিয়ে ‘আবেদ আলী-আবেদ আলী’ নাম শুনেছি, কিন্তু তার সঙ্গে দেখা হয়নি কখনও। এবার গণমাধ্যমে তার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখেছি।’
ড. সাদিক বলেন, ‘আমি যোগদান করার পর পুরাতন সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি, পিএসসির অনেক কর্মকর্তারাও তাকে সমীহ করতেন। ২০১৬ সালের ২ মে আমাকে যখন পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আমি তখন সাধ্যমত চেষ্টা করেছি পিএসসিতে যাতে কোন আবেদ আলী তৈরি না হয়।’

তিনি জানান, ‘আবেদ আলীকে নানা কুকর্মের জন্য বরখাস্ত করার পর তার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করার জন্য যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, তাদেরকেও শুনেছি অনেক কঠোর হতে হয়েছিল।’

পিএসসির এই সাবেক চেয়ারম্যান জানান, ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিল। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন সে বরখাস্ত হয়। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।’