ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০১১ ফাইনালের ধোনি হতে পারেন ২০২৪ ফাইনালের কোহলি

নিজস্ব সংবাদ :

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১, ৪, ০, ২৪, ৩৭, ০, ৯—এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ইনিংসগুলো বিরাট কোহলির, যা তাঁর নামের পাশে মোটেও মানানসই নয়। অথচ সর্বশেষ আইপিএলেও শীর্ষ রান–সংগ্রাহক ছিলেন কোহলি। ফর্মের তুঙ্গে থেকেই গিয়েছেন বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু এবারের আসরে তাঁর ব্যাট সেভাবে হাসছে না।

ভারতের হয়ে টানা ৭ ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচিত হওয়ার কথা। কোহলিকেও হয়তো অনেক কথা শুনতে হতো। কিন্তু ব্যাট হাতে কোহলির তেমন অবদান ছাড়াই ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর ছন্দহীনতা কিছুটা হলেও আড়ালে পড়ে গেছে।
তবে কোহলির স্বরূপে ফেরার সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেটা হতে পারে আজ বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালেই। বড় মাপের খেলায়াড়েরা বড় মঞ্চে বিশেষ কিছু করার অপেক্ষায় থাকেন। কোহলি আজকের চেয়ে বড় মঞ্চ আর কোথায় পাবেন! আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আজ তেমন কিছুরই প্রত্যাশা করছেন সাবেকেরা। এ জন্য তাঁকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার, মোহাম্মদ কাইফ ও নাসের হুসেইন।
ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের মতে, ব্যাটিংয়ের সময় কোহলির ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি। দেশটির সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফের পরামর্শ, ফর্মে নেই, সেটা মাথায় না নিয়ে কোহলিকে খেলে যেতে হবে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও রানখরায় ভুগছিলেন ভারতের সে সময়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফাইনালে ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসই দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আজ কোহলিও ১৩ বছর আগে ধোনি হতে পারেন বলে মত কাইফের। আর ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনের চাওয়া, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট বাদ দিয়ে কোহলি তাঁর সহজাত খেলাটাই খেলুক।
যে জায়গায় কোহলি সবচেয়ে সফল, সেই তিন নম্বর পজিশন কোহলি এবারের বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে নামছেন। কিন্তু ভারতকে উড়ন্ত শুরু এনে দিতে পাওয়াপ্লেতে বড় শট খেলতে গিয়ে বারবার আউট হচ্ছেন। গাভাস্কারের মনে হচ্ছে, কোহলি শক্তি প্রয়োগ করে শট খেলার সময় শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। ফাইনালের আগে তাই উত্তরসূচিকে ‘বডি ব্যালান্স’ (শরীরের ভারসাম্য) ঠিক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের হয়ে ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী গাভাস্কার, ‘আমি বারবার বলে যাচ্ছি, শট খেলার সময় কোহলির শারীরিক ভারসাম্য একই রকম থাকতে হবে। যখন সে শক্তি প্রয়োগ করে মারতে যায়, তখন ভারসাম্য ঠিক থাকে না এবং বলের লাইন মিস করে।’

বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলে ঠিকমতো সংযোগ করতে না পারায় কোহলিকে মাঠেই বেশ কয়েকবার হতাশায় মাথা নাড়াতে দেখা গেছে। গাভাস্কার মনে করেন, কোহলিকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এবং বড় ইনিংস খেলার কথা ভাবতে হবে, ‘সে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছিল, মাথা নাড়াচ্ছিল। এটা ওর জন্য সহায়ক নয়। ওকে নির্ভার থাকতে হবে, বড় ইনিংস খেলতে হবে। তাহলে ভারত বড় সংগ্রহ পাবে।’
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির সেই ছক্কা

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:২১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
৩৪ বার পড়া হয়েছে

২০১১ ফাইনালের ধোনি হতে পারেন ২০২৪ ফাইনালের কোহলি

আপডেট সময় ০৬:২১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১, ৪, ০, ২৪, ৩৭, ০, ৯—এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ইনিংসগুলো বিরাট কোহলির, যা তাঁর নামের পাশে মোটেও মানানসই নয়। অথচ সর্বশেষ আইপিএলেও শীর্ষ রান–সংগ্রাহক ছিলেন কোহলি। ফর্মের তুঙ্গে থেকেই গিয়েছেন বিশ্বকাপ খেলতে। কিন্তু এবারের আসরে তাঁর ব্যাট সেভাবে হাসছে না।

ভারতের হয়ে টানা ৭ ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে না পারলে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচিত হওয়ার কথা। কোহলিকেও হয়তো অনেক কথা শুনতে হতো। কিন্তু ব্যাট হাতে কোহলির তেমন অবদান ছাড়াই ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর ছন্দহীনতা কিছুটা হলেও আড়ালে পড়ে গেছে।
তবে কোহলির স্বরূপে ফেরার সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেটা হতে পারে আজ বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালেই। বড় মাপের খেলায়াড়েরা বড় মঞ্চে বিশেষ কিছু করার অপেক্ষায় থাকেন। কোহলি আজকের চেয়ে বড় মঞ্চ আর কোথায় পাবেন! আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে আজ তেমন কিছুরই প্রত্যাশা করছেন সাবেকেরা। এ জন্য তাঁকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার, মোহাম্মদ কাইফ ও নাসের হুসেইন।
ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারের মতে, ব্যাটিংয়ের সময় কোহলির ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি। দেশটির সাবেক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ কাইফের পরামর্শ, ফর্মে নেই, সেটা মাথায় না নিয়ে কোহলিকে খেলে যেতে হবে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও রানখরায় ভুগছিলেন ভারতের সে সময়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ফাইনালে ধোনির অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসই দলকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছে। আজ কোহলিও ১৩ বছর আগে ধোনি হতে পারেন বলে মত কাইফের। আর ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইনের চাওয়া, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট বাদ দিয়ে কোহলি তাঁর সহজাত খেলাটাই খেলুক।
যে জায়গায় কোহলি সবচেয়ে সফল, সেই তিন নম্বর পজিশন কোহলি এবারের বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে নামছেন। কিন্তু ভারতকে উড়ন্ত শুরু এনে দিতে পাওয়াপ্লেতে বড় শট খেলতে গিয়ে বারবার আউট হচ্ছেন। গাভাস্কারের মনে হচ্ছে, কোহলি শক্তি প্রয়োগ করে শট খেলার সময় শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছেন। ফাইনালের আগে তাই উত্তরসূচিকে ‘বডি ব্যালান্স’ (শরীরের ভারসাম্য) ঠিক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের হয়ে ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী গাভাস্কার, ‘আমি বারবার বলে যাচ্ছি, শট খেলার সময় কোহলির শারীরিক ভারসাম্য একই রকম থাকতে হবে। যখন সে শক্তি প্রয়োগ করে মারতে যায়, তখন ভারসাম্য ঠিক থাকে না এবং বলের লাইন মিস করে।’

বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলে ঠিকমতো সংযোগ করতে না পারায় কোহলিকে মাঠেই বেশ কয়েকবার হতাশায় মাথা নাড়াতে দেখা গেছে। গাভাস্কার মনে করেন, কোহলিকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এবং বড় ইনিংস খেলার কথা ভাবতে হবে, ‘সে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছিল, মাথা নাড়াচ্ছিল। এটা ওর জন্য সহায়ক নয়। ওকে নির্ভার থাকতে হবে, বড় ইনিংস খেলতে হবে। তাহলে ভারত বড় সংগ্রহ পাবে।’
২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে ধোনির সেই ছক্কা